বগুড়ার গাবতলীর বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত ৩০০ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে গাবতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসার জাকির হোসেন মামলাটি করেন।

শুক্রবার সকালে গাবতলী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বুধবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় তিন শতাধিক অজ্ঞাত নারী-পুরুষ কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। তারা সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর, কর্মকর্তাদের মারধর এবং ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বিজিবি সদস্যরা ৩১ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে এক নারীসহ চারজন নিহত হন।

ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুস আলী ফকির জানান, দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে গণনা করতে রাজি হননি। তিনি ব্যালটবাক্সগুলো উপজেলা সদরে নেওয়ার চেষ্টা করলে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদের নির্দেশে বিজিবি গুলি করলে চার নিরীহ গ্রামবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিনি এ ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট ও জড়িতদের বিচার দাবি করেন।

তিনি জানান, মামলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ও মারধরে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি।

ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম হোসেন জানান, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন চিকিৎসাধীন।

অপরদিকে বিজিবির গুলিতে চার গ্রামবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।